ছুটির দিনে সরব বইমেলা, বেচাবিক্রি কম
ছুটির দিনে পাঠক-পাঠিকাদের কলরবে জমে উঠেছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তবে, বেচাবিক্রি কম বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের বিক্রয়কর্মীরা। এদিকে, গত বুধবার বইমেলা শুরু হলেও শেষ হয়নি অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ। ক্রেতা-পাঠকদের আনাগোনার মধ্যেই চলছিল তাদের কাজ।
আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় ঢাকাসহ সারা দেশের হাজারও পাঠক ও দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায়। এদিন পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নানা বসয়ীরা আসেন মেলায়। সন্ধ্যার দিকে অধিকাংশ স্টলগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যায়।
এ ছাড়া বই বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঠকের সমাগম হওয়ায় বেচাবিক্রি ছিল বেশ। তবে, তা ছুটির দিন হিসেবে অনেক কম।
যদিও শিশু চত্বরে বইয়ের কাটতি ছিল। আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর থাকায় সেখানে ভিড় ছিল শিশুদের। নতুন বইয়ের গন্ধে আনন্দে মেতে ছিল তারা। রংবেরঙের প্রচ্ছদের বই হাতে নিয়ে অভিভাবকের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায় তাদের।
এরিনা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সে এসেছিল মেলায়। এনটিভি অনলাইনকে সে বলে, ‘আমার আব্বু-আম্মুর সঙ্গে খিলগাঁও থেকে এখানে এসেছি। গত বছরও এসেছিলাম। আজ আমার খুব খুশি লাগছে। আমি একটি গল্পের বই কিনেছি।’
মেলায় গ্রিনরোড থেকে আসা সুমন মিয়া (২২) বলেন, ‘আমি গতকালও মেলায় এসেছিলাম। আজ আবার বন্ধুকে নিয়ে আসলাম। গতকালের তুলনায় স্টলগুলোতে অনেক ভিড় হয়েছে এবং মেলাকে জাঁকজমকপূর্ণ মনে হচ্ছে। আমি ওবায়দুল কাদেরের লেখা বঙ্গবন্ধু ও দেশের কথা বইটা কিনেছি।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলায় আসা ইলিয়াস হোসাইনএনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার বন্ধু ও ছোট ভাইকে নিয়ে বইমেলায় এসেছি। আমরা এই পর্যন্ত সাতটি বই কিনেছি। পছন্দ হলে আরও কিনব।’
কাকলি প্রকাশনীর স্টলে কর্মরত সোহেল বলেন, ‘মেলায় লোকজন বেশি হওয়ায় আমাদের বই বিক্রিও বেশি হচ্ছে।’
শব্দ শিল্প প্রকাশনীর স্টলে কর্মরত শিখা বলেন, ‘ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম, দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি।’