বইমেলা সেজেছে ৬০১ প্রতিষ্ঠানের ৯০১ ইউনিটসহ ৩৮ প্যাভিলিয়নে
আর মাত্র একদিন। এরপরই মাসব্যাপী শুরু হবে বইমেলা। অধীর আগ্রহে তাই অপেক্ষা করছে বইপ্রেমীরা। যদিও অন্যবারের তুলনায় বইয়ের দাম থাকছে বাড়তি। ফলে বেচাবিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা। তারপরও থেমে নেই উচ্ছ্বলতা। এবার ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৮টি।
আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলার এবারের পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম তাঁর লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান।
এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবি নুরুল হুদা, বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এবং বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সমীর কুমার সরকার ও বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর শওকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘এবার বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে, মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে, অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহিরপথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে আরও তিনটি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে।’
অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে. এম. মুজাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশন অংশে ১৮২টি স্টল এবং ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। পাঠক, দর্শক এবং প্রকাশকদের সম্মিলিত আহ্বান ছিল—এবারের মেলায় যেন তাদের দৃশ্যমান অংশে সন্নিবেশ করা হয়। তবে, গতবারের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের স্থানটিকেও এবারের মেলার একটি অংশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া খাবারের স্টলগুলোকে এবার এমনভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে যেন এলোমেলোভাবে খাবারের স্টল বইমেলায় আসা পাঠকের মনোযোগ বিঘ্নিত না করে।’
উল্লেখ্য, বইমেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।