শেষ হলো জাতীয় কবিতা উৎসব
‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা ’ মর্মবার্তা নিয়ে আজ ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে সমাপ্ত হয়েছে দু’দিন ব্যাপী ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৪’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ-এর সভাপতিত্বে পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তিপর্ব, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গান ইত্যাদি। এতে ফিলিপাইনের কবি ও বর্তমানে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আসান জুনিয়র, সুইডেন, জার্মান, ইরাক, মিশর, তুরস্ক, নেপাল, ভারতসহ দেশ-বিদেশের কবিরা অংশ নিয়েছেন।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, পরিষদের সূচনালগ্ন থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা কেবল কবিতার জন্য না, বরং কবিতা এবং আমাদের সামাজিক জীবনে অবদানের জন্য আমরা এই সম্মাননা দিয়ে থাকি। এই সম্মানজনক পুরস্কারের ক্ষেত্রে বরাবর দেখেছি যে পুরষ্কারটি গ্রহণের সময় আমাদের কবিরা কতটা আবেগে আপ্লুত হন। আমরা বিগত দিনে দেখেছি এই পুরস্কারকে তারা তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করেন। আমরা দেখেছি অনেক পুরস্কার নিয়ে এখন নানা রকমের কথা হয়, কথা ওঠে। কিন্তু কবিতা পরিষদের এই পুরস্কার নিয়ে আজ পর্যন্ত আমরা যাদেরকে পুরস্কার এবং সম্মাননা দিয়েছি তারা গর্বিত হয়েছেন। আজকে আমাদের এই পুরস্কার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যে দুই বছর কবিতা উৎসব করতে পারিনি, সেই দুই বছরের জন্য দুইজন কবি এবং এ বছরের জন্য একজন কবির নাম ঘোষণা করছি।
আজ দোসরা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে কবিতার সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন তিন জন কবি।
জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২২ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কবি রবী রহমান, ২০২৩ এর জন্য অসীম সাহা এবং ২০২৪ এর জন্য কাজল বন্দোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির সময় ২০২১ ও ২০২২ সালে জাতীয় কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারেন বিধায় পুরস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এ বছর তিন বছরের পুরস্কার একসঙ্গে প্রদান করা হয়েছে।
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব আজ আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে।