তৃতীয় দিনে বিকেল থেকে প্রাণ পেতে শুরু করেছে বইমেলা
বইমেলার তৃতীয় দিন আজ শনিবার। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই মেলা প্রাণ পেলেও আজ সকালে ক্রেতা-দর্শকের উপস্থিতি ছিল না তেমন। সকাল ১১টায় থেকে শিশুপ্রহরও জমেনি গতদিনের মতো। তবে, বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। বেলা গড়ালে আরও লোকসমাগম হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
সকালে শিশুচত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেকে এসেছে বইমেলায়। তারা রূপকথা, ছড়ার বইসহ কিনছে ছবি আঁকার বই। বিভিন্ন স্টলে শিশুদের আকর্ষণে এসব বই থরে থকে সাজানো। রঙবেরঙের মলাটের বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছিলেন অভিভাবকরাও। বিথিকা (৪) মায়ের কোলে চড়েই কিনছিল বই। ছবি আঁকতে ভালোবাসে সে। ভালোবাসে গল্প শুনতে। তাই সেই সব বই-ই কিনেছে সে।
এদিকে, খাঁ খাঁ করছে লিটলম্যাগ চত্বর। মেলায় দেড় শতাধিক লিটলম্যাগের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলেও এসেছে গুটি কয়েক। সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১০টির মতো স্টলে দেখা গেছে লিটলম্যাগ। সেখানে ‘যুক্তস্বর’-এর স্টলে থাকা বিক্রয়কর্মী জানান, তারা প্রথম দিন থেকেই আছেন। আরও কয়েকটি লিটলম্যাগের স্টলে লোক আছে। তবে, কী কারণে এখনও সবাই আসছে না, তা বলা কঠিন।
দোলন সম্পাদক কামাল মুস্তাফা জানান, শিশু-কিশোদের উপযোগী করে প্রকাশ হয় ‘দোলন’। ২০০৯ সালে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ‘দোলন’ মূলত উৎসবভিত্তিক কাজ করে আসছিল। লিটলম্যাগের স্টলে ছোট কাগজের কম উপস্থিতির বিষয়ে কামাল মুস্তাফা বলেন, নানা দিক সামলে ছোটকাগজ পাঠকের হাতে পৌঁছায়। এই ছোটকাগজ সম্পাদকরাও বিভিন্ন পেশায় জড়িত। তার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজ করে যাচ্ছেন তারা। অনেকে তাই সকালে পৌঁছাতে পারেন না। বিকেলের দিকে আসেন।
মেলা প্রাঙ্গণে সকালে গতকাল শুক্রবারের মতো লোক সমাগম না থাকলেও বিকেল থেকে আসতে শুরু করেন সব বয়সীরা। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা থেকে এসেছেন ফাবিহা ফারহানা পুতুল। এসএসসি পরীক্ষার্থী সে। ফারহানা জানান, বইমেলা ঘুরছি। খুব ভালো লাগছে। পছন্দের বই খুঁজছি। পরীক্ষার পর সেগুলো পড়ব।
আজ মন্দিরের কাছাকাছি শিশুচত্বর ও টিএসসি গেট দিয়ে মেলায় ঢুকতেই যেসব স্টল-প্যাভিলয়ন, সেখানে ক্রেতারা সমাগম বেশি দেখা গেছে। সেই তুলনায় নাট্যমঞ্চের পাশের স্টলগুলো উপস্থিতি কম। সেখানে স্টল অর্জন প্রকাশনের। তার প্রকাশক মো. আবু হোসেন বলেন, স্থান ভেদে লোক উপস্থিতি প্রতিবারই থাকে। এবার এদিকে লোক সমাগম কম। যদিও আজ ছুটির দিন। তাই লোক সন্ধ্যার দিকে বেশি হবে। অন্যদিকে, অধিকাংশ প্রকাশনীতেই নতুন সব বই তুলতে পারেনি। দু’একটি করে আসছে। প্রতিবারের অভিজ্ঞতায় এবারও বলা যায়, মূল পাঠক-ক্রেতাদের উপস্থিতি প্রথম ১০দিনের পর থেকে দেখা যাবে।