সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেও বইমেলায় ভিড়, এলো নতুন ৮০ বই
অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিনে ছিল সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষ দিন। এদিনও মেলায় লোকসমাগম ছিল বেশ। যদিও সেই তুলনায় বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীদের। এদিন নতুন বই এসেছে ৮০টি। এসবের মধ্যে উপন্যাসের বই অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় বেশি। এদিকে, বইমেলার মূলমঞ্চে ছিল আহমদ শরীফ স্মরণ আলোচনা। আর জমজমাট ছিল ‘লেখক বলছি’র মঞ্চও।
বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি থেকে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নতুন আসা বইগুলোর মধ্যে উপন্যাস ১০টি, প্রবন্ধ চারটি, ইতিহাস দুটি, রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ রয়েছে।
এদিন মেলায় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্টলেও দেখা গেছে তাদের। খুঁজে দেখছিলেন বই। কিনতেও দেখা গেছে। তবে, প্রকাশনির স্টল থেকে দাবি করা হয়েছে, বেচাবিক্রি লোকসমাগমের তুলনায় কম। আর মেলায় আসা বিভিন্ন বয়সীরা জানান, এখনও অধিকাংশ নতুন বই মেলায় আসেনি। ফলে, আগের বইয়ে চলছে মেলা। এজন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মেলার মাঝামাঝির দিকে এসে কিনবেন পছন্দসই বই।
আরিফ কামাল পড়ালেখা করেন ঢাকা কলেজে। তিনি এই আট দিনের মধ্যে চার দিনই ছিলেন মেলায়। জানান, বইমেলায় আসি, ভালো লাগে। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। বরেণ্য লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গেও দেখা হয়। বই কেনাতো সারা বছরই সম্ভব। এখন অনলাইনেও কেনা যায়। কিন্তু, বরেণ্যদের দেখা যায় না। তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ততোটা থাকে না। তিনি এসেছেন তাদের খুঁজতে। কথা বলতে।
একই ধরনের অনুভূতি জানালেন জয়া মজুমদার। তিনি বলেন, মাসের মাঝামাঝিতে বই সংগ্রহ করব। আর বিক্রয়কর্মী আফিয়া সুলতানা জানান, গতবারও তিনি একটি স্টলে ছিলেন। সেই তুলনায় এবার অষ্টম দিনে বিক্রি বেশি বলা চলে। তবে, যে পরিমাণে লোকসমাগম আজ হয়েছে, তা গতবারের বইমেলার প্রথম ১০ দিনের তুলনায় বেশি। সে হিসেবে বই বিক্রি বাড়েনি।
এদিকে আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে আহমদ শরীফ স্মরণ আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। তিনি বলেন, অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তাজগৎ ছিল সুদূর প্রসারিত। জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিকতায় তাঁর চিন্তাজগতে বিবর্তনও ঘটেছে। নতুন বিষয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। এই মহান চিন্তকের ইহজাগতিক ও রেনেসাঁ-চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, গবেষক আলী আকবর টাবী, কবি সুমন সরদার এবং কথাসাহিত্যিক শাহরিয়া দিনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ করেন কবি আশরাফ আহমদ, নাসরীন জাহান, কামরুল হাসান এবং আলফ্রেড খোকন।