আহমেদ আল আমীনের ‘খলনায়ক’ এখন বইমেলায়
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সমকালীন লেখক আহমেদ আল আমীনের উপন্যাস ‘খলনায়ক’। উপন্যাসের বিস্তৃত জমিন গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে। দুটি বর্ণনারীতিতে গল্প এগিয়ে গেছে। এই উপন্যাসে বর্ণিত গল্পের উপস্থাপন কৌশলকে লেখক শূন্যলতা স্টাইল বলছেন, যার জট খোলা দুরুহ। গল্প বলার প্রয়ােজনে শূন্যলতা এসেছে, প্রাসঙ্গিকভাবে থেকে গেছে।
একটি কিশোর ২৩ বছর পর পারিবারিক কবরস্থানে ছুটে যায় রাতের অন্ধকারে। সারারাত সেখানে থাকে। কৈশোরে সে দাদির দাফন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেও কবরে মাটি দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল।
দারিদ্র্যপীড়িত জীবনে লাঞ্চনা, বঞ্চনা ও আঘাতে বেড়ে ওঠা মানুষটির ভালোবাসায় বাঁধা ঘর সন্দেহ, অবিশ্বাসের আবর্তে দুলে ওঠে। পাতায় পাতায় গভীর জীবনদর্শন নতুন চিন্তার উদ্রেক করবে। হোঁচট খাওয়ার মতো জীবনের বাঁকবদল। খলনায়কের কাছে প্রচলিত বিশ্বাস ও মূল্যবোধ নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ।
উপন্যাসে উঠে এসেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়করাজ রাজ্জাকের কথা। আছে ঢালিউড সুপারস্টার ইলিয়াস কাঞ্চন ও মান্না এবং বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের প্রসঙ্গও। আছে পদ্মা সেতুর কথা। কেন, এই গল্পে তাদের প্রাসঙ্গিকতা কী? এই উপন্যাসে নায়ক মান্নাকে একটি বিশেষ উপাধি দেওয়া হয়েছে।
রুশদা প্রকাশ থেকে এসেছে বইটি, যার প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। ঢাউস আকারে, আঠারো ফর্মায় লেখা বইয়ের গায়ের মূল্য সাড়ে ৫০০ টাকা হলেও বইমেলা উপলক্ষে ২৫ ভাগ ছাড়ে ৪১৩ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে। পাঠকের অপেক্ষায় খলনায়ক থাকছে রুশদা প্রকাশের ২৪ নম্বর স্টলে ও অনলাইন বুকশপ রকমারি ডটকমে।
আহমেদ আল আমীনের ‘খলনায়ক’ প্রথম উপন্যাস হলেও লেখালিখিতে আছেন কৈশোর থেকে। ২০১৫ সালে প্রথম বই প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির নলছিটিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রকাশনা বিজ্ঞানী ও সম্পাদনা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল ইসলামের জীবনকথা, ঝোপেঝাড়ে তারা জ্বলে প্রভৃতি।