বইমেলায় দর্শনার্থী বেশি বিক্রি কম
অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিনটি ছিল সরকারি ছুটির। এদিকে বইছে ফাল্গুনি হাওয়া। উবে গেছে শীত, তাই ফুরফুরে হাওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণে নেমেছে দর্শক-ক্রেতা-লেখক-পাঠকের ঢল। আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ছিল লোকারণ্য। শিশুপ্রহর থাকায় শিশু-কিশোরদেরও ছিল ভিড়। আর মেলার পুরোটা সময়ের অর্ধেকটা কেটে যাওয়ায় এই ছুটির দিনে ঘিরে ছিল সবার আগ্রহ। যদিও বিক্রিতে সন্তুষ্ট নন অধিকাংশ প্রকাশক। তাদের দাবি, বইমেলায় দর্শক বেশি, কিন্তু বিক্রি সেই তুলনায় কম। তবে গতবারের থেকে এবারে বিক্রি বেড়েছে বলে জানান তারা।
আজ সকালজুড়ে ছিল শিশুদের মেলা। সেখানে অভিভাবক আর অন্যান্য শিশু-কিশোরদের সঙ্গে মেতে ছিল চামেলি (১১)। অন্যান্য শিশু-কিশোরদের থেকে একটু আলাদা চামেলি বিজ্ঞানবিষয়ক বই কিনতে চায়। বলল, বই কিনব বলে এসেছি। তবে এখনও বই কিনিনি। কিনব।
প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ থেকে প্রকাশ হয়েছে ছয়টি নতুন রচনাবলিসহ ৪৮টি বিষয়ের ওপর ২৩০টির বেশি বই। সে ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ১০টির মতো বই। এরমধ্যে আছে কবিতা, উপন্যাস, অনুবাদের বই। তাদের প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সাহিত্যদেশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শফিক সাইফুল বলেন, ‘ছুটির দিনগুলোতে বিক্রি বাড়ে। তবে, লোকসমাগমের তুলনায় বিক্রি তেমন নেই। আর গতবারের তুলনায় কিছুটা বিক্রি বাড়লেও সেটি উল্লেখযোগ্য না।’
ছিন্নপত্র স্বত্বাধিকারী ও কবি খালেদ রাহির মতে, পাঠক-লেখক সমাবেশস্থল হলো বইমেলা। বিক্রি হচ্ছে না, তা না। বইমেলায় বইবিক্রির কিছু পরিকল্পনা থাকে। সে দিক বিবেচনায় কম, তবে গতবারের তুলনায় বেশি।
একজন প্রকাশক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিশু চত্বর ঘুরে দেখবেন, একই বই অনেক স্টলে। তাহলে বিষয়টি বুঝতেই পারছেন। পাঠক সঠিক বইটি পাচ্ছেন না। পাইরেটেড বইয়ে সইলাভ হয়ে আছে মেলা।