‘অনার্স-মাস্টার্স পাস’ বলে দুই হাজারের নিচে ‘ঘুষ’ নেন না পিয়ন তফাজ্জল!
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের এক পিয়নের বিরুদ্ধে নানা ছলচাতুরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সঠিকভাবে মনোনয়ন ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। ফরম পূরণে ভুল হলে প্রার্থীতা বাতিল হবে বলে দেখানো হচ্ছে ভয়ভীতি। করছেন অশোভন আচরণ। নিজেকে ‘অনার্স-মাস্টার্স পাস’ দাবি করে দুই হাজারের নিচে ‘ঘুষ’ নেন না ওই পিয়ন তফাজ্জল। এ সম্বন্ধীয় এক মিনিট ছাব্বিশ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তফাজ্জলের বাড়ি গৌরিপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই অফিসে প্রায় চার বছর কাজ করছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তফাজ্জল বলছেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স পাস করে এসেছি, সর্বনিম্ন দুই হাজার টেহার (টাকার) নিচে নেই না। এইডা কী দিলেন? আপনার মনোনয়ন কনফার্ম করার দায়িত্ব আমার।’
এক অভিযোগ বলছে, ঘটনার দিন বিকেলে তফাজ্জল অফিসে আসা বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে র্নিভুল মনোনয়ন ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে দুই থেকে তিন হাজার করে টাকা নিচ্ছিলেন। টাকা না দিলে নিজেকে ‘ফহিন্নি’ নন বলেও দাবি করেন তফাজ্জল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন, নির্বাচন অফিসে সেবাপ্রার্থী সবাই তফাজ্জলের হয়রানির শিকার। নানা ছলে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত তিনি। নির্বাচনের এলে বেড়ে যায় তাঁর হয়রানির মাত্রা।
সাত ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ, রড়হিদ ও ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন। মনোনয়ন ফরম পূরণ নিয়েও চলছে প্রার্থীদের চরম ব্যস্ততা। এ পর্যন্ত ওই তিন ইউনিয়নে লড়তে ১৮৭টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রার্থীরা।
তফাজ্জল প্রসঙ্গে ওই তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ভিডিও দেখে ও লোকমুখে অভিযোগ শুনে রোববার তফাজ্জলকে শোকজ করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’ জবাব সন্তোষজনক না হলে তফাজ্জলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।