অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কার দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কার দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজপোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিকরা বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, ২০২১-এর জন্য বিবেচিত হবেন। পাঁচ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। এগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধ, অপরাধ ও দুর্নীতি, নারী ও শিশুবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র এবং আলোকচিত্র।
বসুন্ধরা গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ, অপরাধ ও দুর্নীতি, নারী ও শিশুবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ক্যাটাগরির প্রতিটিতে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সেরা তিনটি প্রতিবেদন করে মোট নয়জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ও আলোকচিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে দুজনকে। ১১ বিজয়ীর প্রত্যেকে পাবেন আড়াই লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ।
মনোনয়নের জন্য প্রকাশিত/প্রচারিত প্রতিবেদন কুরিয়ার, ইমেইল অথবা সরাসরি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কার্যালয়ে জমা দেওয়া যাবে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই খামের ওপর অথবা ইমেইলের সাবজেক্টে ক্যাটাগরির নাম উল্লেখ করতে হবে। একজন প্রতিবেদক শুধু একটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে সিরিজ প্রতিবেদন হলে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
প্রতিবেদন ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশিত/প্রচারিত হতে হবে। প্রতিবেদনের সঙ্গে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রতিযোগীর নাম, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং বর্তমান কর্মস্থলের ঠিকানাসহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে। প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্তের প্রত্যয়নপত্রও জমা দিতে হবে।
প্রতিটি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের পাঁচ সেট প্রিন্ট/স্ক্যান কপি ও অনলাইন লিংক এবং টেলিভিশনের ক্ষেত্রে পাঁচ সেট স্ক্রিপ্ট, সিডি কপি/পেনড্রাইভ ও নিউজ লিঙ্ক জমা দিতে হবে। প্রতিবেদন ইমেইলেও ([email protected]) পাঠানো যাবে।
এ ছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড, প্লট-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ ঠিকানায় কুরিয়ারে অথবা সরাসরি অফিসে এসে জমা দেওয়া যাবে। জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২২। এরপর পৌঁছানো প্রতিবেদন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে আরও জানা গেছে, অভিজ্ঞ সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত নিরপেক্ষ জুরিবোর্ড প্রতিটি প্রতিবেদন মূল্যায়ন করবে। সর্বোচ্চ গড় নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারিত হবে। জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।