অবশেষে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানার
অবশেষে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের করোনাভাইরাস শনাক্তে বসানো হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন।
মঙ্গলবার দুপুরে একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এসেছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, খবর ইউএনবি।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের পরীক্ষার জন্যও খুব শিগগিরই একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন আগে থেকে ছিল। কিন্ত গত ৬/৭ মাস আগে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ায় বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েই চলছিল দেশের বাইরে থেকে আসা দেশি ও বিদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
‘আজ একটি মেশিন এসেছে। এটি বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে। আশাকরি বুধবার থেকে সকল বিমানযাত্রীকেই থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে,’ বলেন তিনি।
আরেকটি মেশিন শিগগিরই চট্টগ্রামে এসে পৌঁছবে। সেটি চট্টগ্রাম বন্দরে বসানো হবে বলে জানান এ সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মাহমুদ আকতার বলেন, বিমানবন্দরের জন্য একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন এসেছে। দুপুর থেকে এটি বসানোর কাজ চলছে। সম্পন্ন হলে বুধবার থেকে বিমানবন্দরের সকল যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা শনাক্ত করা শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আগের থার্মাল স্ক্যানার নষ্ট হয়ে পড়ায় এতদিন ধরে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল।
জানা গেছে, চলিত বছরের প্রথম দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০ জানুয়ারি থেকে সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করলেও করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রতিদিন ৯ জন চিকিৎসক পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ করোনা শনাক্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও সেটিকে পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করছেন বিদেশ ফেরত যাত্রীরা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। কিন্তু সাত মাস আগে এ স্ক্যানার মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ৫টি হ্যান্ডহেল্ড মেশিন দিয়েই আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটির যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলে আসছিল।
এনিয়ে মঙ্গলবার সকালে ইউএনবিতে ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।