অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত নগরজীবন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে সৃষ্ট গত দুদিনের অবিরাম বর্ষণে নগরবাসীর জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো বিরতি দেখা যায়নি। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীবাসী, বিশেষ করে চাকরিজীবী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে, বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে যানবাহনের অভাবে অনেককে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। আবার রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো এই বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
আজ দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে কাজের অভাবে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যান্য কর্মদিবসের তুলনায় এদিন মোটরচালিত যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে। মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট নিম্নাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।