অবৈধ বাস বন্ধে ১৭-২৮ জুলাই পর্যন্ত অভিযান : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজধানীতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে অবৈধ এক হাজার ৬৪৬টি বাস জব্দ করে সেগুলো ধ্বংস করা হবে। আগামী ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৩তম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে মেয়র বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর তিন (২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর) রুটে ঢাকা নগর পরিবহণের ২০০ নতুন বাস চালু করার ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের মেয়র তাপস বলেন, ‘ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে আমরা আগামী ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত যৌথ অভিযান করবো। এই অবৈধ এক হাজার ৬৪৬টি বাস, যারা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে বিভিন্ন রুটে চলে। এদের আমরা ঢাকা শহরের যেখানে পাই সেখানেই ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু দিনের বেলায়ই নয়, প্রয়োজনে আমরা রাতেও অভিযান পরিচালনা করবো। টার্মিনালে রাখলে টার্মিনাল থেকে খুঁজে বের করবো, রাস্তায় রাখলে রাস্তার মধ্যে খুঁজে বের করবো। কাউন্টারের পাশে রাখলে কাউন্টারের পাশ থেকে আমরা খুঁজে বের করবো। আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ৬৪৬টি বাস জব্দ করবো, ধ্বংস করবো। ’
আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রুটগুলোতে যাত্রী ছাউনি, বাস-বেসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২১ নম্বর রুটে পারমিটবিহীন ও অবৈধ কোনো বাস চলবে না জানিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২১ নম্বর রুট ঘাটারচর থেকে কাঁচপুরে ঢাকা নগর পরিবহণ ছাড়া অন্য কোনো বাস চলবে না। এই রুটে শুধু ঢাকা নগর পরিবহণই চলবে। ’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিয়া, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুনিবুর রহমান, গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা।