অবৈধ সম্পদ : প্রদীপের ২০ ও তাঁর স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ আজ বুধবার সকালে এ রায় দেন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া প্রদীপ কুমার দাশসহ তাঁর স্ত্রী চুমকি কারন উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারন গৃহিণী হয়েও চট্টগ্রাম শহরে তাঁর নামে একাধিক বাড়িসহ নানা সম্পদ রয়েছে। বিচার চলাকালে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রদীপ ও চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে উপস্থাপন করে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সব কিছু মিলিয়ে চারটি ধারায় আসামি প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকিকে ২০ ও ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ১৮ জুলাই যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। এ মামলায় বর্তমানে দুজনই কারাগারে রয়েছেন।