অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল গ্রেপ্তার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চটির মালিক হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর গতকাল রোববার লঞ্চের চার মালিকসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার নৌ আদালত। গতকাল বিকেলে মামলা দায়েরের পর সেটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) জয়নাব বেগম।
নৌ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেল্লাল হোসাইন এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন—লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, শামীম আহমেদ, রাসেল আহমেদ, ফেরদৌস হাসান, মাস্টার ইনচার্জ রিয়াজ আহমেদ, মাস্টার খলিলুর রহমান, ড্রাইভার ইনচার্জ মাছুম বিল্লাহ ও ড্রাইভার আবুল কালাম।
এর আগে রোববার দুপুরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে মামলা করা হয়। সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মতিঝিলের নৌ আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিদের নামে অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধনী ২০০৫)–এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া (জলে ভাসমান স্থলনির্দেশক বস্তু বিশেষ) ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিন কক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার বাদী অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান জানান, অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয়েছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।