অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
সকালে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুদক ও সরকারি সংস্থার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, তাঁদের প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ‘আদালত থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে, আমরা সার্বিক বিষয় উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করেছি।’
গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চেয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর হাইকোর্টের আদেশের জবাব তৈরি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দুবার বৈঠক হয় দুদক, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার।
গত ১৮ নভেম্বর এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, বিদেশে অর্থ মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীরাই বেশি।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন আদালত।