অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিকেলে দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের বিরুদ্ধে ৫৬ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মজুমদার ২০১৬ থেকে ১৭ সাল পর্যন্ত ছাত্র সংসদ, উন্নয়ন তহবিল, ভর্তি কার্যক্রম, ফরম পূরণ ও বিবিধ তহবিল থেকে অবৈধভাবে ৫৬ লাখ আট হাজার ৯৮৬ টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ সোমবার বিকেলে তাকে একক আসামি করে এই মামলা করা হয়।
সূত্র জানায়, ছাত্র সংসদ না থাকলেও ২০১৬-২০১৭ সালে ছাত্র সংসদের নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র না মেনে পাঁচজন ছাত্রনেতা ও কর্মচারীর নামে ভুয়া বিল ও ভুয়া আবেদনপত্র তৈরি করে নিজেই অনুমোদন করে ১৫টি চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ দুই হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে ছাত্রনেতারা এবং কর্মচারীরা লিখিতভাবে টাকা তোলার বিষয়ে অবহিত নন বলে দুদককে জানান। উন্নয়ন তহবিলের নামে উন্নয়ন কমিটির সুপারিশ ছাড়াই নিজেই ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া বিবিধ তহবিলের নামে কোনো কমিটি গঠন না করেই ৩৭টি চেকের মাধ্যমে ১৩ লাখ চার হাজার ৪২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এবং বেসরকারি আদায় তহবিলের নামে ভর্তি কার্যক্রম ও ফরম পূরণের নামে ছাত্রদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি গ্রহণ করে ২৮টি চেকের মাধ্যমে ১৮ লাখ তিন হাজার ৭০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
দুদক সূত্র আরও জানায়, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এসব অপকর্ম করা হয় এবং অগ্রণী ব্যাংক কলেজ গেইট শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে অবৈধভাবে ৫৬ লাখ আট হাজার ৯৮৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। আইনগতভাবে মামলা মোকাবিলা করব।’
দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘মামলা হয়েছে। এখন যেকোনো সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।’