অর্থ আত্মসাতে পি কে হালদারের ‘সঙ্গী’ ৮৩ জন
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সঙ্গে অর্থ আত্মসাতে জড়িত ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আজ শনিবার সংশ্লিষ্ট কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট হাইকোর্টে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। যেখানে তারা উল্লেখ করেছে, পি কে হালদারকাণ্ডে ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের সব অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, এই রিপোর্টের মাধ্যমে পি কে হালদারের অর্থপাচারের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে উঠে এসেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি পাচার করেছেন। পাচার করা অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানো হয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে লোপাট করেছেন অন্তত তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পি কে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ইত্যাদি।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সব প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন এবং নতুন আরো কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার। নিজেও পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে মামলা করার আগেই লাপাত্তা হন পি কে হালদার।