অশান্তির জবাব কীভাবে দিতে হয় শিগগিরই দেখবেন : মির্জা আব্বাস
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শান্তি মিটিংয়ের নামে অশান্তি সভা করবেন না। বিএনপি কর্মসূচি দিলে পাল্টা কর্মসূচি দেবেন না। প্রয়োজন হলে আগে কর্মসূচি দেবেন, আমরা আপনাদের দিনে কর্মসূচি দেব না। যদি শান্তি চান, বিএনপির কর্মসূচির দিন কর্মসূচি দেবেন না। অশান্তির জবাব কীভাবে দিতে হয়, সেটা শিগগিরই দেখতে পাবেন।’
আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির প্রস্তুতি সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে গেছে। বিএনপি চায় গণবিস্ফোরণের আগেই সরকার ভালোয় ভালোয় যেন ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জনগণ সরকারের জেল ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। সময় থাকতে জনগণের সঙ্গে আপস করেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটাতে চায় বিএনপি। বিএনপি আন্দোলন করলেও সরকার ভয় পায়, চুপ থাকলেও ভয় পায়। ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা শুনলেই সরকারের মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। এটা আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের দাবি ছিল।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার জনগণের মঙ্গল চায় না। সরকার বাংলাদেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। জনগণের টাকা জনগণকে দেবেন, কোনো ভর্তুকি চায় না জনগণ। সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে জনগণের টাকার ভর্তুকি নিয়ে কথা বলে।’
প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। তাই তারা নিজেদের দুর্নীতির টাকা, সম্পদ রক্ষায় পাগল হয়ে গেছে। পালানোর সুযোগ পাবেন না। ভালোয় ভালোয় আপসে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। অন্যথায়, আপনাদের করুণ পরিণতি হবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’
সালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন— আমরা বিদ্যুতে আর ভর্তুকি দেব না। আমরা বলছি, আপনারা দুর্নীতি বন্ধ করেন তাহলে আর ভর্তুকি দিতে হবে না। আপনাদের দুর্নীতির কারণেই জনগণ ভোগান্তিতে আছে। জনগণের দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা বিএনপির কর্মসূচির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের বর্তমান আন্দোলন। সরকার যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করলে আমাদের নাগরিকত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’
ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে সরকার ছোট শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসেও বিকৃতি ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
সভায় পদযাত্রার দিক চূড়ান্ত করা হয়। এটি গোপীবাগ ব্রাদার্স ক্লাব মাঠ থেকে শুরু হয়ে কমলাপুর, আরামবাগ মোড়, ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হবে।