আইসিটির প্রভাষকরা এনটিআরসিএতে সুযোগ চান, রুল
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষকদের এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে কেন সুযোগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল পাল। তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট গোলাম আজম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী উজ্জ্বল পাল বলেন, গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার বিষয়ে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় সাত হাজার শূন্যপদ দেখানো হয়।
২০২১ সালে জারি হওয়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১ সালের শেষদিকে জারি হওয়া সংশোধিত মাদরাসা জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশোধিত জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করা হয়। এতে ওই আবেদনকারীরা বাদ পড়েন। এরপর তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ ও ২০২১ সালের নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।