আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে নাটোরে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৮
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ রোববার। এর আগেই গতকাল দুদফায় ঘটে গেল দুপক্ষের সংঘর্ষ। সার্কিট হাউজের সংঘর্ষে চরমভাবে আহত হন অনন্ত ১০ জন। যাঁদের সাত জনকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। এর আগে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে শংকরভাগ এলাকায় আহত হন আরও আট জন।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এটাকে ‘সামান্য হাতাহাতির ঘটনা’ বলা হয়েছে। আর, ‘বড় সংগঠনে ছোটখাট এমন ঘটনা ঘটতেই পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ফেস্টুন থেকে কাঠ খুলে নিয়ে পেটানো হয়, চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল শবিবার বিকেলে সার্কিট হাউসে ঘটে এ ঘটনা।
এতে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু, আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর নাফিউল ইসলাম অন্তরসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন মারাত্মত আহত হন। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে সম্মেলনের পোস্টার দেওয়ালে লাগাতে গিয়ে সদরের শংকরভাগ এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান দুপক্ষের সমর্থকেরা। এ সময় আহত হন অন্তত আট জন আহত হন।
শংকরের ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সার্কিট হাউসের ঘটনায় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহসিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় একটি রাজনৈতিক দল। বড় সংগঠনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছোটখাট এমন দু-একটি ঘটনা ঘটতেই পারে।’ যদিও তিনি জেলায় পদ নিয়ে নেতৃবৃন্দের লালসার কথা স্বীকার করেছেন।