আওয়ামী লীগ ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে না : আমু
যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা সমাবেশে লোকের উপস্থিতি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে গেছেন, মনে করছেন এতেই ক্ষমতায় চলে আসছেন। তারা আজ দেখেন, আপনাদের কথা আর দুই-একটা কর্মসূচিতে সরকার পড়ে যাবে না। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শত শত নারীর সম্ভ্রম আপনারা নষ্ট করেছেন। এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে হাজির হন। এসময় তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
এরপর তাঁকে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজির হওয়ার পরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎফুল্লতা লক্ষ করা গেছে।
আজ সকাল থেকেই এই সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন উদ্যানের চারপাশ। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগারে রাজপথ মুখরিত করে রাখেন।
সকাল থেকেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়, নিউমার্কেট, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলা একাডেমির সামনেও নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এছাড়া কাওরানবাজার থেকে হাজারো নেতাকর্মীকে স্লোগানের মধ্য দিয়ে সমাবেশ স্থলে যেতে দেখা গেছে।
সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পায় জাতীয় পতাকা, যুবলীগের সাংগঠনিক পতাকা ও নানা রংয়ের প্ল্যাকার্ড। মিছিল আর বাদ্যযন্ত্রে চারপাশ মাতিয়ে রাখেন তারা। এছাড়া প্রতিটি জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের রয়েছে পৃথক রঙের টি-শার্ট ও হরেক রকম ক্যাপ। নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে মিছিল-শোডাউনও করছেন নেতাকর্মীরা।
আজকের এ সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত রয়েছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।