আওয়ামী লীগ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আজকের আওয়ামী লীগ যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক সুসংহত, শক্তিশালী ও সচেতন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের নেত্রী, মানবতার নেত্রী। তাঁকে হত্যা করতে চাইলে এদেশের জনগণ ও সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পাশে দাঁড়াবে।
আজ সোমবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে, তাদেরকে দলের নেতৃত্বে আনা যাবে না। দলের বিপদেআপদে সকল আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থাকবে তাদেরকে নেতা নির্বাচন করতে হবে, দলে জায়গা দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, রাজাকার, আলবদর, বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ৭৫ সালে আমরা বুঝতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসীম সাহসী, তাঁর হৃদয় ছিল আকাশের মতো উদার, সমুদ্রের মতো বিশাল। তিনি কিছু মানুষকে, কিছু কুচক্রীকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু আজকের সুসংহত ও শক্তিশালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেকোন মূল্যে এই অপশক্তির মূলোৎপাটন করবে।
ভরা মৌসুমেও চালের দাম না কমার প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনা, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে দামবৃদ্ধিসহ নানা কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বলতে চাই, এবছরও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোন হাহাকার হবে না, খাদ্যের কোন সংকট হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত ১৪ বছরে আজকের দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। কোন মানুষ না খেয়ে থাকার কষ্ট করেনি। আমাদের যে সম্পদ রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, তাতে যে কোন পরিস্থিতি আমরা মোকাবেলা করতে পারব।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উদ্বোধক হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি বক্তব্য রাখেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।