আগুনে পুড়ে স্ত্রীর পাশেই চিরঘুমে দগ্ধ স্বামীও
জামালপুরে রান্নাঘরে পেট্রলের ড্রাম বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে নিহত গৃহবধূ সানজিদা আক্তার শিপরার স্বামী একই দুর্ঘটনায় দগ্ধ ইকরামুল হক শুভ্র মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ইকরামুল হক শুভ্র (৩৩) পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের ছেলে।
গত ২১ মার্চ পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামে গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় পেট্রলভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানায়, ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে নিহত সানজিদা আক্তার শিপরার স্বামী ইকরামুল হক শুভ্রও মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। পরে তাঁকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই তাঁকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইকরামুল হক শুভ্র। রাতেই তাঁর স্বজনরা মৃতদেহ নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আজ বুধবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে স্ত্রী সানজিদা আক্তার শিপরার কবরের পাশেই ইকরামুল হক শুভ্রকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রান্না করার সময় পাশে রাখা পেট্রলের ড্রাম বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মারা যান গৃহবধূ সানজিদা আক্তার শিপরা ও মারাত্মক দগ্ধ হন তাঁর স্বামী ইকরামুল হক শুভ্র। তবে দাদার বাড়িতে অবস্থান করায় রক্ষা পায় তাদের পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা সোয়াইফা। জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর বাজারে ডিজেল-পেট্রলের ব্যবসা করতেন ইকরামুল। দোকানের কাছেই স্থানীয় মোজাম্মেল হোসেনের একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে স্ত্রী সানজিদা ও কন্যাসন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।