আজ রাজধানীর কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং
বিদ্যুৎ ঘাটতি কমাতে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। আজ বুধবার টানা দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হবে।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো) আজ লোডশেডিং শুরু করবে সকাল ১০টায়, যা এলাকাভিত্তিক সূচি অনুযায়ী চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। একই সময় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডও (ডিপিডিসি) লোডশেডিং শুরু করবে। আজ রাজধানীর কোথায় কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা দিয়েছে সংস্থা দুটি। তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে গেছে দেশ। এ ছাড়া ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত এবং মসজিদে এসি ব্যবহার বন্ধসহ আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সোমবার আয়োজিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য শিডিউলভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি আরও যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত থাকবে; রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধ থাকবে; মসজিদে এসি ব্যবহার বন্ধ থাকবে; সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প; সরকারি অফিসের সভা হবে ভার্চুয়ালি।
এ ছাড়া আরও বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অফিসের সময়সূচি দুই ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী সাংবাদিকদের জানান, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হচ্ছে। এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থার সঙ্গে তুলনা করে জ্বালানি উপদেষ্টা আরও জানান, রাত ৮টার পরে দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কেউ খোলা রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদে এসি ব্যবহার বন্ধ থাকবে। সরকারি অফিসের সময় কমানো ও সভা অনলাইনে করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গাড়িতে তেল কম ব্যবহার করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি নয়। আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের বেশি অগ্রাধিকার শিল্প ব্যবসায়। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’