আতর-টুপি-জায়নামাজের দোকানে শেষ মুহূর্তের ভিড়
আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর, আর না দেখা গেলে আগামী মঙ্গলবার ঈদ উদ্যাপন করা হবে।
ঈদের দিন সকালে নতুন পাঞ্জাবি, টুপি পরে সুরমা-আতর লাগিয়ে তসবিহ আর জায়নামাজ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদগাহে যাবেন। তাই, শেষ মুহূর্তে বিপণিবিতানে নতুন জামাকাপড়ের পাশাপাশি সুরমা, আতর, টুপি, তসবিহ আর জায়নামাজের দোকানে ভিড় বেড়েছে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, পল্টন ও নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে নানা ডিজাইনের টুপি, জায়নামাজ সারি সারি সাজানো। পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাথরের তসবিহ এবং বিভিন্ন ধরনের আতর। ক্রেতারা দরদাম করছেন। তুর্কি জায়নামাজ ৩৫০ থেকে ১২ হাজার টাকায়, পাকিস্তানি জায়নামাজ ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায়, চীনা জায়নামাজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আতর-টুপির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের বেশ আনাগোনা। ছোট ছোট দোকানে একটার পর একটা সাজানো বাহারি সব টুপি।
হরেক রকমের টুপি
আতর-টুপির জন্য নামকরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেট। আতর-টুপির কয়েকটি দোকান ঘুরে জানা যায়, সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা দামের যে টুপি, তা পরিচিত পেশোয়ারি টুপি নামে। এসব দোকানে আরও রয়েছে সুলতান সোলেমানি টুপি, দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা; রুমি টুপি দুই হাজার টাকা, ওমানি টুপি এক হাজার ২০০ টাকা, মিসরীয় টুপি এক হাজার টাকা, মুম্বাই টুপি ৭০০ টাকা, পাকিস্তানি সিন্ধি টুপি এক হাজার টাকা, পাকিস্তানি আলকব টুপি ৫০০ টাকা এবং আফগানি টুপির দাম ৫০০ টাকা।
সৌদি আল রিহাব কোম্পানির ৬ মিলিগ্রাম ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়, ভারতের আল নাঈম কোম্পানির ৮ মিলিগ্রাম বোতলের আতর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি কোম্পানি ফারহানের আতর ৬ মিলি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় এবং আলিফ কোম্পানির আতর ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টুপি বিক্রেতাদের ভাষ্য, দামি টুপির ক্রেতা কম। তবে, ঈদের আগে দামি টুপির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। বেচাকেনা বেশি দেশি কারখানায় তৈরি করা টুপির। ঈদের আগে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আল-ফারুকের টুপি, ফিরোজের টুপি, দেশি জালি টুপি প্রভৃতি।
জমজমাট আতরের বেচাকেনাও
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যে আতরের দোকানগুলো রয়েছে, সেখানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার (এক তোলা) টাকা দামের আতর রয়েছে, তার নাম উদ আতর (সৌদি আরব)। এ ছাড়া দামি আতরের মধ্যে আছে আল হারমাইন শেখ (এক তোলা ২০ হাজার টাকা), কস্তুরি (এক তোলা ১৪ হাজার টাকা) ও মুস্তাহ আল তাহারা (এক তোলা সাড়ে ৪ হাজার টাকা)। তবে আতরের দোকানগুলোয় বেশি বিক্রি হচ্ছে আলিফ, আল ফারহান, আল ইসরাত, আল রিসাব, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল, সুরভি ও বেলি ফুলের আতর।