আদালতে নিশ্চুপ পরী মণি, রাজ ছিলেন স্বাভাবিক
চিত্রনায়িকা পরী মণি, প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজনকে পৃথক দুই মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ রাত সোয়া ৮টার পর আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। পরী মণিকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে তোলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময়ে তাঁকে একনজর দেখার জন্য আইনজীবীরা ভিড় করেন। আদালত কক্ষ ভর্তি হয়ে যায় আইনজীবী ও উৎসুক লোকদের ভিড়ে। পরে পরী মণিকে এজলাসের আসামির ডকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সাদা শার্ট পরা এক যুবককে জড়িয়ে ধরেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা ওই যুবককে সরিয়ে দেন। এরপরে নারী পুলিশ সদস্যরা পরী মণিকে ঘিরে ফেলেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মো. মামুনুর রশিদ আসন গ্রহণ করলে আইনজীবীদের মধ্যে মামলা পরিচালনা নিয়ে বিবাদ বাধে। অনেকে পরী মণির মামলা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি ও গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের মামলা পরিচালনা করতে চান, অপর দিকে অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীও মামলা পরিচালনা করতে চান। আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। পরে বিচারক হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ত্যাগ করেন।
বিচারক পরী মণিকে তাঁর আইনজীবীর বিষয়ে বললে তিনি নীলাঞ্জনা রিফাতকে দিয়ে মামলা পরিচালনা করার কথা বলেন। এরপরে বিচারক আবার এজলাসে উঠলে শুনানি শুরু হয়। শুনানির সময় পরী মণি মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। তাঁর চোখে মুখে ছিল হতাশার ভাব। কিন্তু তাঁর সঙ্গী প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজকে স্বাভাবিক থাকতে দেখা গেছে। আদালতে রাজ তাঁর আইনজীবী এবং বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু পরীমণি নিশ্চুপ ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ শুনানিতে বলেন, মাননীয় আদালত আসামি পরী মণির বাসায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালায়। অভিযানে পরী মণির বাসায় বিপুল মদ, ভয়ংকর মাদক আইস ও এলএসডির স্লট উদ্ধার হয়। এসব মাদকের উৎস কোথায়, আসামি পরী মণিকে কে কে এসব সরবরাহ করত তার তথ্য-উপাত্ত বের করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবশ্যক।
এরপরে পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জলা রিফাত বলেন, পরী মণি জনপ্রিয় নায়িকা। তাঁকে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সবাই চিনে। তাঁর বাসায় কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা তাঁর রিমান্ড নাকচ করে জামিন চাচ্ছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাঁকে সবাই চিনে, কোথায় পলাতক হবেন না।
এরপরে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে পরী মণি ও তাঁর ব্যবস্থাপকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে অপর মামলার শুনানি শেষে প্রযোজক নজরুল রাজ ও তাঁর ব্যবস্থাপকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিকেলে পরী মণি, প্রযোজক নজরুল রাজসহ চারজনকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলায় পরী মণি ও তাঁর ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর পাঁচ।
আরেকটি মামলায় নজরুল রাজ ও তাঁর ব্যবস্থাপক মো. সবুজ আলীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর ছয়। মামলার পরে চারজনকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
মামলার আগে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গতকাল বুধবার বিকেলে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরী মণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরী মণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। তাঁর বাসায় একটি মিনিবার পাওয়া যায়। আমরা তাঁর বাসা থেকে ১৯টি বিদেশি মদের বোতল, এলএসডিসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। এ জন্য শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতি মণি ওরফে পরী মণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।
পরী মণির সহযোগী ও রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজের কাছ থেকে আমরা মাদক ও বেশ কিছু ডিজিটাল কনটেন্ট উদ্ধার করেছি। সেগুলো দিয়ে তিনি বিভিন্ন লোককে ব্ল্যাকমেইল করতেন। এজন্য রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নজরুল রাজের সিন্ডিকেট রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ডিজে পার্টির আয়োজন করত। এসব পার্টিতে অনেক অবৈধ কর্মকাণ্ড তৈরি হতো। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করত। নজরুল রাজের ‘রাজ মাল্টিমিডিয়া’র কার্যালয়ে বিভিন্ন অপকর্ম হতো। তিনি কয়েকজন অবৈধ অর্থের যোগানদাতার নাম জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন নাম উঠে এসেছে। সেগুলো আমরা যাচাই করছি। তদন্তের স্বার্থে এসব এখনই বলছি না। কারা আসতো-যেতো সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না যাচাই-বাছাই করছি। তদন্তের স্বার্থে এখন বলছি না। ১৯টি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে পরী মণির বাসা থেকে। সামগ্রিকভাবে আমরা তদন্ত করছি। পরী মণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, পরী মণির মদ খাওয়ার লাইসেন্স থাকলেও তা ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ।
এর আগে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শরিফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকার গুলশান, বারিধারা ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টি আয়োজনের বেশ কয়েকটি স্থানের তথ্য প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১-এ অভিযান গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমণি ওরফে পরী মণি (২৬) ও মো. নজরুল ইসলাম ওরফে রাজসহ (৩৯) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অপর সদস্যরা হলেন পরী মণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু (২৯) ও রাজের ম্যানেজার মো. সবুজ আলী (৩৫)। উদ্ধার করা হয় একটি মিনি বার পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ ১৯ বোতল বিভিন্ন প্রকার বিদেশি মদসহ দেড় শতাধিক ব্যবহৃত বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা ও সিসা সামগ্রী, এলএসডি; আইস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৬ সাল থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন পরী মণি
র্যাবের কমান্ডার খন্দকাল আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত শামসুর নাহার স্মৃতি এই স্মৃতি মণি ওরফে পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পিরোজপুরের কলেজে (এইচএসসি) জীবনে অধ্যায়নরত অবস্থায় চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০১৪ সালে চিত্র জগতে অন্তর্ভুক্ত হন। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি সিনেমা এবং পাঁচ-সাতটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে চিত্র জগতে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরিতে গ্রেপ্তারকৃত মো. নজরুল ইসলাম রাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে পরী মণি ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করে থাকেন। মাত্রাতিরিক্ত সেবনের চাহিদা মেটানোর লক্ষে বাসায় একটি মিনিবার স্থাপন করেছেন। মিনিবার থাকায় তাঁর ফ্ল্যাটে ঘরোয়া পার্টির অয়োজন পরিপূর্ণতা পেত বলে তিনি জানান। গ্রেপ্তারকৃত মো. নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তাঁর বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করত এবং পার্টিতে অংশগ্রহণ করত বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
মাদ্রাসায় পড়েছিলেন নজরুল রাজ
র্যাব জানায়, নজরুল রাজকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। পরে ঢাকায় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন বলে দাবি করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ও ঠিকাদারী কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি শোবিজ জগতেও তাঁর অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন সিনেমা/নাটকে তিনি নানান চরিত্রে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নামে বেনামে প্রযোজনায় যুক্ত হন। রাজ মাল্টিমিডিয়া নামেও তাঁর একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়িক জগত ও চিত্র জগতের দুই ক্ষেত্রে তাঁর সংযোগ থাকায় তিনি অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিজ অবস্থানের অপব্যবহার করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নজরুল রাজ ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত শরিফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের সহযোগিতায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। উক্ত সিন্ডিকেটটি রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। উক্ত পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে সিন্ডিকেট সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত অভিজাত পরিবারের সদস্য। প্রতিটি পার্টিতে ১৫ থেকে ২০ জন অংশগ্রহণ করত। এ ছাড়া সিন্ডিকেটটি বিদেশেও প্লেজার ট্রিপের আয়োজন করত। একইভাবে উচ্চবিত্ত প্রবাসীদের জন্যেও দুবাই, ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ধরনের পার্টির আয়োজন করা হতো। পার্টি আয়োজনের ক্ষেত্রে আগত ব্যক্তিদের চাহিদা/পছন্দের গুরুত্ব দিয়ে পার্টিগুলো আয়োজন করত। গ্রেপ্তারকৃত নজরুল রাজের সিন্ডিকেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করতেন। সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায় তারা অগ্রসর হতেন ও স্বার্থ চরিতার্থ করতেন। রাজের ‘রাজ মাল্টিমিডিয়া’র কার্যালয়টি অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতো।
নজরুল রাজ র্যাবকে জানিয়েছেন, এ জাতীয় অবৈধ আয় থেকে অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় আমদানি, ড্রেজার বালু ভরাট ও ঠিকাদারী এবং শোবিজ জগতে বিনিয়োগ করতেন। বর্ণিত ব্যবসায় বেশ কয়েকজন অবৈধ অর্থের যোগানদাতাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যবসায়িক কাঠামোতে অস্বচ্ছতা রয়েছে।