আদালতে শাশুড়িকে খুনের বর্ণনা দিলেন সেই গৃহবধূ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পুত্রবধূর হাতে ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া সেই গৃহবধূ নাজমিন আক্তার।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মেদ খন্দকারের আদালতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নাজমিন আক্তার জবানবন্দি দেন। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়া এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শাশুড়ির হস্তক্ষেপ করাকে কেন্দ্র করে পুত্রবধূ নাজমিনের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২১ জুন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় খাগরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৈশামুড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ইলিয়াছ চৌধুরীর স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৫৫) ছুরিকাঘাত করেন পুত্রবধূ নাজমিন। সে সময় রোকেয়া বেগমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিনই নাজমিন আক্তারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলাও হয়।
এদিকে, চমেক হাসপাতালে রোকেয়া বেগমের অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে আগ্রাবাদে মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ জুন সন্ধ্যা ৬টার সময় তিনি মারা যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানায় করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। এ মামলায় ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নাজমিন আক্তারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে নাজমিন বিচারকের কাছে শাশুড়িকে হত্যার বর্ণনা দেন।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা গৃহবধূ নাজমিন আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরেই মূলত তিনি ছুরিকাঘাত করে শাশুড়িকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।