আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন আ.লীগ নেতা হাবু : ডিবি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ফাহিম যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সহসভাপতি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ফাহিম যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুটপাতসহ বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি করতেন। এই চাঁদা তোলা নিয়ে আবু বক্কর ও ফাহিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পরে ওই দিন আবু বক্করের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেন ফাহিম।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আবু বক্কর সিদ্দিক হাবু যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোড নিরালা হার্ডওয়্যারের সামনে পৌঁছালে ফাহিমসহ অন্যান্য আসামিরা ছুরি, চাপাতি ও সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় হাবুর পেটের ডান পাশে মারাত্মক আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু বক্করের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ফাহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্করের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে নিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।