আনসার বাহিনীর নারী কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর পলাশী সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে রুমানা ইয়াসমিন (৩০) নামের আনসার বাহিনীর এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রুমানা গতকাল শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম সরকার আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
রুমানা ইয়াসমিন গাজীপুরের সফিপুরে আনসারের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার লোহাজল গ্রামে।
এসআই সিরাজুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘গতকাল রাত ৮টার দিকে রুমানা ইয়াসমিনের এক বন্ধু যান স্টাফ কোয়ার্টারে। সেখানে গিয়ে তিনি এক নারীর কাছে রুমানার খবর জানতে চান। সেসময় তিনি ওই নারীকে জানান, রুমানার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রুমানা আত্মহত্যা করতে পারেন এমন আশঙ্কার কথাও ওই সময় জানান তিনি। এরপর তাঁরা কোয়ার্টারের একটি বাসায় গিয়ে রুমানাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাঁরা রুমানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এসআই সিরাজুল আরো বলেন, ‘রুমানা প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসতেন এবং শনিবার চলে যেতেন। তবে রুমানা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা আমরা জানতে পারিনি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে। এখন রুমানার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।’