আন্দোলন-নির্বাচন দুটোই একসঙ্গে : আ স ম রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পায়নি। তাই আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ অনৈতিক সরকারের পতন ঘটাতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। আমরা শুধু আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাব তা নয়; আন্দোলন ও নির্বাচন এই দুটোই একসঙ্গে করব। তবে এই সরকারের অধীনে দেশে নির্বাচন হবে না, রাষ্ট্রসংস্কারসহ গুণগত পরিবর্তনে কাজ করব।
আজ মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শেষে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।
এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া, যুগপৎ আন্দোলনে জয়লাভ করা, রাষ্ট্র মেরামত, সংবিধান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলেছি। অধিকাংশ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকেও আলোচনায় উঠে আসার বিষয়ে গণসমাবেশে বলা হচ্ছে। তার মানে হচ্ছে আমাদের মধ্যে অনেক কিছুতেই একমত আছি। সবাই একমত আছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে না। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলন করব। আন্দোলন কর্মসূচি চলছে; যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করব। বিএনপির বেশকিছু বিষয়ে তাদের ধারণা ও আমাদের ধারণার মধ্যে বহুলাংশে মিল পেয়েছি আলোচনায়। এই সরকারকে সরিয়ে দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎ আন্দোলন করব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আজকের আলোচনায় মূলত তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে, প্রথমত- আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই। দ্বিতীয়ত- এই সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে; তখন তাদের তত্ত্বাবধানে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয়ত- রাষ্ট্র সংস্কারে সংবিধানসহ গুণগত পরিবর্তন।’