আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান সায়েন্টিফিক অফিসার মুহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার কাজে আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করায় এই মামলা করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি হলেন—আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ ও আবহাওয়াবিদ মো. আতিকুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সাবেক সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার কাজে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁরা দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক পদাধিকার বলে পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করতে পারেন। পরিচালক ব্যতীত আবহাওয়া অধিদপ্তরের অন্য কোনো কর্মকর্তার আর্থিক মঞ্জুরি দেওয়া সংক্রান্ত ক্ষমতা নেই। কিন্তু, সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার সংক্রান্ত কাজে ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আট কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা, আবহাওয়াবিদ মো. আতিকুর রহমান ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৩৬৭ টাকার প্রশাসনিক অনুমোদনে প্রতিস্বাক্ষর করেন। আর অপর আসামি সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ ছয় কোটি ৮৭ লাখ ৪৭ হাজার আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করেন। কৌশলে একই প্রকৃতির কাজকে ভাগ ভাগ করে পাঁচটির অধিক আটটি লট ভাগ করেছেন।
মামলার বিরবণীতে বলা হয়, আর্থিক অনুমোদনের মাধ্যমে ভবনের সংস্কার কাজে পিপিআর-২০০৮-এর বিধিমালা ১৭(২) ও (৫) ভঙ্গ করেছেন।
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্য এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে দুদক মামলায় জানিয়েছে, বিধান অনুযায়ী সংস্কারকাজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক অনুমোদনযোগ্য হলেও অনুমোদন না নিয়ে তাঁরা নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।