আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল চাই, কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী দল চাই না। গণতান্ত্রিক দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল অবশ্যই থাকবে, না থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আজ সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শক্তিশালী ও গঠনমূলক বিরোধীদল চাই। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানুষের অকল্যাণকর দল চাই না। যে দল মানুষের কল্যাণে কাজ করবে, সৃজনশীল হবে, সরকারের দোষ-ত্রুটি-ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরে সরকারকে জবাবদিহির ব্যবস্থা করবে। এমন বিরোধী দল দেশে দরকার। এটা হলে সরকার তাদের দায়িত্ব পালন আরো বেশি সতর্ক হবে। কিন্তু দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় এমন বিরোধী দল না থাকাই ভাল। এটি একজন অসুস্থ মানুষও চাইবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে দেশকে পরিচর্যা করা, মানুষের সেবা করা। ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা না। আর এটা করার অধিকার কারও নেই। যত ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব এবং ছোট্ট শিশু রাসেলকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। রাসেল হত্যার নিষ্ঠুরতা যদি নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা যায় তাহলে তারা সেদিনের নির্মমতা অনুধাবন করতে পারবে। শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। তার সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। শেখ রাসেলের জীবনী পড়লে বর্তমান প্রজন্মের সৃজনশীলতা আরো বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলকে কেন হত্যা করা হয়েছে? তার কী দোষ ছিল? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন, মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিয়েছেন। দেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার জন্য কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? এসব প্রশ্নে আমাদের খুব ব্যথিত করে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এলজিইডি ও ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনআইএলজির মহাপরিচালকসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।