আমাদের ৫ মাসের খাদ্য কেনার রিজার্ভ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে; তাঁরা প্রত্যেকে বলেছে, ২০২৩ সাল বিশ্বে দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। আপনারা জানেন, এমনিতে আমাদের দেশ দুর্যোগপূর্ণ দেশ। বিশ্বব্যাপী এমনিতে অর্থনৈতিক সংকট। তাই আমরা দেশের নাগরিক দলীয় নেতাকর্মী সবাইকে বলে রেখেছি, আগামী বছর হবে খাদ্য সংকটের বছর। সেজন্য কোন জায়গা ও জলাশয় যেন খালি না থাকে। সেজন্য আমরা খাদ্য সংকট মেটাতে কৃষিখাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ জন্য সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিভিন্নভাবে সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর চেষ্টা করেছি দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার। কিন্তু, ষড়যন্ত্রকারীরা বসে থাকেনি। তারা আমাদের থামানোর চেষ্টা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ রয়েছে। আমাদের পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার রিজার্ভ রয়েছে। আমরা যতই ঋণ নেই না কেন, কোনো ঋণ পরিশোধ ছাড়া থাকেনি। আমাদের বাজেটের দিক থেকে কোনো সংকট নেই। যেসব প্রকল্পগুলো দ্র্রুত শেষ করা যায় সেগুলো আগে নিয়েছি। এক্ষেত্রে প্রকল্পগুলোকে তিনভাগে ভাগ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বেসরকারিখাতকেও শক্তিশালী করেছি। তবে, জনগণকে এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। জনগণের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। দেশের অর্থনীতি যেন সচল থাকে, সেদিকে যেন নজর দিচ্ছি। কিছু মিডিয়া রয়েছে যতই ভাল কাজ করি তাদের চোখে পড়ে না। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসলাম তখন দেশের অর্থনীতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল সেখান থেকে আমরা চেষ্টা করেছি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু, গ্যাস বিক্রি না করাই পরে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তাহলে বোঝেন, যদি গ্যাস বিক্রি করে দিতাম, তাহলে এখন কী অবস্থা হতো। এখন অন্ধকারেই থাকতে হতো।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লস আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শেষ ভাগে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।