আমি ছাড়া আদালতে জমা দেওয়ার মতো কাগজপত্র নেই : পরী মণি
‘স্যার, আমার বাসা থেকে অনেক কিছুই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসার বিভিন্ন চাবিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন আমি ছাড়া আদালতে জমা দেওয়ার মতো কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই।’
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে শুনানির সময় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও জানান, গাড়ির কাগজপত্রও তাঁর কাছে নেই।
এর আগে পরী মণি সকাল সাড়ে ১০টার পর আদালত চত্বরে আসেন। জামিন পাওয়ার পর প্রথম হাজিরা ছিল আজকে। এ ছাড়া পরী মণিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কিছু জিনিস জব্দ করেছিল। পরী মণি সেগুলো নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্যও আবেদন করেন।
আদালতে শুনানির সময় পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, ‘পরীমণির সাদা রঙের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ির ভেতর মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র ছিল। গাড়িটি নিয়ে যাওয়ায় কোনো কাগজপত্র পরী মণির কাছে নেই। এ জন্য গাড়ির মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।’
আইনজীবী আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় পরী মণির আইপ্যাড, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় পরী মণি এখন নানান সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে গাড়ি না থাকায় তিনি নিরাপত্তা ও হুমকির মধ্যে আছেন। মানবিক কারণে যে কোনো শর্তে তাঁর জব্দ করা গাড়িটা ফেরত দেওয়া হোক।’
তখন পরী মণি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, আমার বাসা থেকে অনেক কিছুই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসার বিভিন্ন চাবিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন আমি ছাড়া আদালতে জমা দেওয়ার মতো কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই।’
যদিও পরী মণির আবেদনের বিপক্ষে অবস্থান নেন সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ। তিনি যুক্তি দেখান, ‘মাননীয় আদালত, গাড়ির মালিকানা যাচাই ছাড়া জিম্মায় কীভাবে দেওয়া সম্ভব। যেহেতু পরী মণি ও তাঁর আইনজীবী বলছেন, গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের মালিকানার কাগজপত্র নেই, তাই তাঁর আবেদন নাকচ করা হোক।’
তখন আদালত গাড়ির মালিকানা যাচাইয়ের নির্দেশনা দেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত পরী মণিকে জামিন দেন। পরের দিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত পান।