আরও এক মামলায় জামিন পেলেন যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাট
যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আরও এক মামলায় জামিন পেয়েছেন।
রাজধানীর রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সম্রাটের জামিন হলো আজ। এ নিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে তিন মামলায় জামিন হয়েছে। তবে, আরও একটি মামলা থাকায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
আজ সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেখায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, দুদকের করা মামলায় সম্রাট গ্রেপ্তার থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না সম্রাট। আগামী বুধবার সম্রাটের উপস্থিতিতে এ মামলার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন জামিন পেলে কারাগার থেকে বের হতে পারবেন তিনি।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অভিযান শুরুর পর কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মেলেনি সম্রাটের। এসবের মধ্যে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাঁদের করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। ওই দিন র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে সম্রাটের তিন দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অন্যদিকে তাঁর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য রোববার (১০ এপ্রিল, ২০২২) দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন।
জানা যায়, সম্রাট ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার ভ্রমণ করেন সিঙ্গাপুর।