আলটিমেটাম দিয়ে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের রাপা প্লাজার সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে তাঁরা রাস্তায় নামেন। এ সময় তাঁরা গাড়ির কাগজপত্র আছে কিনা তা তল্লাশি করছিলেন। পরে দুদিনের আলটিমেটাম দিয়ে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সড়কে নামার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর সড়কের যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
শিক্ষার্থীদের দাবি—২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) নিশ্চিতে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল থেকে নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাপা প্লাজার সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী হাজির হন। তাঁরা সেখানে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাস্তায় তীব্র যানজট শুরু হওয়ার পর এক সময় শিক্ষার্থীরা যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করে একে একে যানবাহন ছাড়তে শুরু করেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক নেই, তাদের আটকে দেওয়া হয়। আর যাদের ঠিক আছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৯ দফা দাবি আদায়ে গত বৃহস্পতিবার তাঁরা সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ওই দিন দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাও করবেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে কাল রোববার এবং আগামী সোমবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলবে বলেও ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এটার পাশাপাশি তাঁরা সড়কে ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন যাচাই কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
এ খবর জেনে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার সেখানে যান। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তবে, সড়কে যাতে অন্যদের ভোগান্তি না হয়, তা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’