আ.লীগের অধীনে ফখরুল সিইসি হলেও ভোট সুষ্ঠু হবে না : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। আমাদের কথা হবে সরকারকে নিয়ে। এখানে নির্বাচন কমিশন কোনো ‘ফ্যাক্টর’ না। মূলত ৭০-৮০ জন সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করে। আমাদের কটাক্ষ করে বলা হয়, ‘মির্জা ফখরুলক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানানো হবে’। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বরদের সিইসি করলেও ভোট সুষ্ঠু হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাদের সুস্থতা কামনায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক দল আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা রয়েছে দলে। খালেদা জিয়া মাঠে নেই, তারেক রহমান দেশে নেই। তাই বলে কি দল চলছে না! জিয়াউর রহমান ছিলেন না, দল কীভাবে চালাতে হয় খালেদা জিয়া তা প্রমাণ করেছেন। খালেদা জিয়া বিছানায়, তারেক রহমান বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করছেন।
গয়েশ্বর আরও বলেন, আমাদের দেখতে হবে, নেতাকর্মীদের মধ্যে চেতনায় মিল আছে কিনা। যদি মিল থাকে, তবে দল চলবে। খালেদা জিয়া হলেন মাদার অব ডেমোক্রেসি আর তারেক রহমান হলেন ‘সান অব ডেমোক্রেসি’। তিনি দলকে ঠিকই পরিচালনা করবেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করবেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বলা হচ্ছে বিদেশিরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আসলে তো বিদেশিরা ষড়যন্ত্র করছে না। সরকারের নেতাকর্মীদের অপকর্ম সব ফাঁস হচ্ছে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে তারা বিদেশিদের পদক্ষেপকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, সাধারণ মানুষতো প্রতিদিন রাস্তায় নামবে না। জনগণ নামবে ফাইনাল খেলার দিন। তখন ধরে ধরে শুধু জনগণের হাতে ছেড়ে দেবেন, তারা যা করার করবে। সেই পরিবেশ আমাদেরই তৈরি করতে হবে। এই সরকার টিকে থাকার সরকার না। জনগণকে আমাদের বুঝাতে হবে, আমরা ভোটের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। আপনার ভোট আপনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে, যাকে খুশি তাকে দেবেন। এই স্লোগানে জিয়ার কণ্ঠ, খালেদা জিয়ার কণ্ঠ, তারেক জিয়ার কণ্ঠ এক।
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। এছাড়াও কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।