আ.লীগের একটি কাউন্সিলর না চাইলে আমি নেতৃত্বে থাকব না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগে একটি কাউন্সিলর যদি বলে আমাকে চায় না, তাহলে আমি কোনো দিনও থাকব না। এ ছাড়া, যেদিন থেকে আমার অবর্তমানে আওয়ামী লীগ আমাকে প্রেসিডেন্ট করেছিল, সেদিন থেকে মেনে যাচ্ছি। এটা ঠিক দীর্ঘদিন হয়ে গেছে এবং চাই, নতুন নেতৃত্ব আসুক।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব কাউন্সিলরা সাধারণত নির্বাচিত করে ও ঠিক করে এবং কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত চরম সিদ্ধান্ত।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে। আমার যেটা লক্ষ্য ছিল, জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করে স্বল্প উন্নত দেশে মর্যাদা দিয়ে যান এবং স্বল্প উন্নত দেশের মর্যাদা কিন্তু জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছিল। এরপরে এদেশে ঘটেছে হত্যার রাজনীতি, ক্ষমতা ছিল বন্দিখানায়, গণতন্ত্রও ছিল না, তার পরিবর্তে ছিল মার্শাল ‘ল’ এবং মিলিটারি শাসক এবং সেখানে কারফিউ গণতন্ত্র বলতে পারি। অনেক চড়াই উত্রাই পাড় করে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটানা তিন বার অর্থাৎ, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এই পর্যন্ত একটানা গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে। এরমধ্যে অনেক চড়াই উত্রাই, খুন, অগ্নি সংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাস ঘটেছে। তারপরেও কিন্তু আমরা ক্ষমতাই একটানা ছিলাম বলে আজকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমার তো লক্ষ ছিল ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেয়েছি। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লস আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শেষ ভাগে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।