আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত ১০
জামালপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সরিষাবাড়ীর খুটামারা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিশের দাবি—সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ দুপুরে যমুনা সার কারখানা সংলগ্ন খুটামারা বিলে উভয়পক্ষের লোকজন মাছ ধরতে গেলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে কারখানার সামনে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেখানে গেলে ইট-পাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই আব্দুল মালেক (৪০), কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৫৭) ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম (৩২)।
অন্য আহতরা হলেন— ফজলুল হক বাবু (৩২), রোকন (৩০), রিপন (২৮), হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৫), মোস্তাক (৪৫), মোতালেব (২৫)।
গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক বলেন, ‘খুটামারা বিলে স্থানীয় গ্রামবাসী মাছ চাষ করেছে। রফিকের লোকজন বিলের মাছ জোরপূর্বক ধরতে যায়। তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাঁর বাণিজ্যিক কার্যালয় ও দুজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের ম্যানেজার শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা লুটপাট করা হয়।’
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’