আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
মানিকগঞ্জে জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ডভ্যান চালক ও সহকারী ইউনিয়নের সভাপতি (মেয়াদউত্তীর্ণ) ও আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনের ভুক্তভোগী সদস্যরা।
এছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জসিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন অভিযোগ পত্রটি পড়ে শোনান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে লিয়াকত আলী ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আশরাফ আলী চিশতী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। গত ৮ জুন দেওয়া ওই নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত লিয়াকত আলী ভাণ্ডারী জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অসত্য। উল্টো তিনি দাবি করেছেন যারা তাঁর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তারাই সংগঠনের টাকা আত্মসাত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে, লিয়াকত আলী ভাণ্ডারী ওই সংগঠনের সভাপতি থাকার সুবাধে তিনি ও সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. জসিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী জেলার সাতটি শাখার প্রত্যেকটি থেকে এককালীন কল্যাণ তহবিলের নামে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা, প্রতিমাসে সাতটি শাখা থেকে কল্যাণ ও বুক স্লিপের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে জমা হয়। এছাড়া জেলার দুটি কাঁচাপাকা মালের আড়ত থেকে ৬০ হাজার টাকা, সার ও তামাক গোডাউন, গড়পাড়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ হাট থেকে ৩০ হাজার টাকা, ট্রাক টারমিনাল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে বছরে ২৫ লাখের বেশি টাকা আদায় হয়। গত আট বছর ধরে এই টাকা উত্তোলন হলেও যার একটি টাকাও সংগঠনের তহবিলে জমা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই কোটি টাকার বেশি টাকা লিয়াকত আলী ভাণ্ডারী আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম করিম ও সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে মারধর করার অভিযোগও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।