আলু রপ্তানিতে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী
আলু রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলুচাষের অনুকূল। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন আরো অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য আমরা বিদেশে আলুর বাজার বিস্তৃত করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে কাজ চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে এক কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। আলুর ভালো জাতের অভাব এতদিন আলু রপ্তানিতে বড় বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এ ছাড়া, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণসহ ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। এ রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করার কাজ চলছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।
এ সময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহাবুব মোর্শেদ, নির্বাহী সদস্য সুফিয়ান আহামেদ, জিয়াউল হক, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদল আলুর রপ্তানি বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয়করণ, গবেষণার জন্য অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রণীত রোডম্যাপের সঠিক বাস্তবায়ন, আলু পরিবহণে কুল চেইন বজায় রাখতে প্লাগ ইন সেন্টারসহ অবকাঠামো নির্মাণ, কাস্টমস হাউজের বাইরে কন্টেইনার ব্যবহারের ব্যবস্থা, লোডিং পয়েন্টে ফাইটোস্যানিটারি পরীক্ষার ব্যবস্থা, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে পুনরায় আলু রপ্তানির জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ, নতুন বাজার অনুসন্ধান প্রভৃতির দাবি জানান। এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।