আশুগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাধা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইজারাদারকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আজ রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আশুগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিসচার্জ চ্যানেল-১ থেকে উপজেলার কালাসুতা খাল পর্যন্ত জায়গা ইজারা নেওয়া ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিউদ্দিন মোল্লার বড় ভাই ইমরান মোল্লা। ইমরান মোল্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে আমার ভাই মহিউদ্দিন মোল্লা বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিসচার্জ চ্যানেল-১ থেকে উপজেলার কালাসুতা খাল পর্যন্ত ইজারা পায়। ইজারা পেয়ে নিয়ম অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত টোল আদায় শুরু করলে মো. ফারুক, মাসুদ, ইদন মিয়া নামে কয়েকজন ড্রেজার, ইটভাটা ব্যবসায়ী নিজেরা সরকারি টোল না দিয়ে অন্যদেরও টোল দিতে নিষেধ করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ইমরান মোল্লা বলেন, এদিকে আমার ভাই মহিউদ্দিন মোল্লা ইজারা নেওয়ার আগে আসিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জিতু মিয়া, মেসবাহ উদ্দিন বাবর, এসডিএস ড্রেজারের মালিক ফারুক ও মাসুদ, আবির ড্রেজিংয়ের আনোয়ার হোসেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ছয়-সাত মাস ধরে অবৈধভাবে ইজারাদার হিসেবে মাসুল আদায় করছে। তারা টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হতে না পারায় আমি বৈধ ইজারাদার হওয়া সত্ত্বেও মাসুল আদায়ে বিরোধিতা করছে। যা সরকারি কাজের বিরোধিতার শামিল। আমি এই বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ইজারাদার মহিউদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ ফারুক, মাসুদ, ইদন মিয়াসহ কয়েকজন বলছেন—ইজারাকৃত জায়গায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নেই। অথচ ইজারকৃত এলাকায় আটটি ইটভাটা, চারটি চাতালকল এবং ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের মালামাল উঠানামার জেটি রয়েছে। টোল আদায়ে যারা বিরোধিতা করছে আমি ইজারাদার হিসেবে সরকারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।