আহরণ নিষিদ্ধের সময় ৪২ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ : নৌপুলিশ প্রধান
মা ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ইলিশ আহরণ, মজুদ, কেনাবেচা ও পরিবহন নিষিদ্ধের সময়ে সাড়ে চার হাজার জেলে আটকসহ ১২৭ কোটি মিটার জাল জব্দ করেছে নৌপুলিশ। একইসঙ্গে ৪২ হাজার কেজি ইলিশ জব্দসহ চার শতাধিক মামলা হয়েছে। নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় দিনব্যাপী মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন।
দেশে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ, কেনাবেচা ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সে হিসেবে নিষিদ্ধকালীন সময়ের বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ রক্ষায় নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌপুলিশ। এ সময় সাড়ে জেলে আটক, কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দসহ কয়েকশ মামলার তথ্য দেন নৌপুলিশ প্রধান। তিনি জানান, এই সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মা ইলিশ নির্বিঘ্নে যাতে অবাধ বিচরণ এবং ডিম পাড়তে পারে তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা আশাবাদি, এবার ব্যাপক সংখ্যক ইলিশ উৎপাদন হবে, যা গতবারের তুলনায় ছাড়িয়ে যাবে।’
শফিকুল বলেন, ‘এ বছর ইলিশ উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়াবে। আর ইলিশ আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব।’
এ সময় চাঁদপুরে এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৩৮ কেজি মা ইলিশসহ ২০ জেলেকে আটক করা হয়। এদের ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নৌপুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার (অপারেশন) ড. আ ক ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পুলিশ সুপার ঢাকা অঞ্চল গৌতম বিশ্বাস, চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।