আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট দিতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধিরা
আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন ভবনে আজ বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বিএনপির পক্ষে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী ও হিসাবরক্ষক মো. ওমর ফারুক।
রিপোর্ট জমা দিয়ে সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন গত বছরের (২০২১ পঞ্জিকা বছর) আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দিলাম। গত বছর আমাদের দলের আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। আর মোট ক্ষতি ঘাটতি হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা, যা ব্যাংক রিজার্ভ থেকে মেটানো হয়েছে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংলাপ রাজনৈতিক বিষয়। মহাসচিব ইতোমধ্যে বলেছেন, আমরা এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল নই। কেননা, এখন পর্যন্ত যে কথাবার্তা দেখছি, সেটা একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, এটা আমরা আশা করছি না। এটা তাদের আচরণের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন, নির্বাচনের সংলাপ এটা নিয়ে তো আর আলাপ নয়। হিসাব দিতে হয়, আইনে আছে তাই দিলাম। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের কথা হলো, যে সরকার আছে এই সরকার; সমস্ত রাজনৈতিক দল জানে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে, অবৈধ সরকার। তার অধীন কোনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর এটা সরকার নিজেই প্রমাণ করছে। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, তখন নির্বাচনে যাব।
রিজভী বলেন, সংবিধান সংশোধনের প্রভিশন আছে, এর আগে সংশোধনের নজির আছে। আবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সন্নিবেশ করতে হবে। ইসির আচরণ যদি এমন হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশন হিসেবে যদি ব্যবহার করেন এবং আগামী নির্বাচন যদি তার মত ইচ্ছা অনুযায়ী করতে চান, তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য যদি সেই ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তাহলে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিশ্চয়ই আন্দোলন হবে।