ইউক্রেনে নিহত নাবিক হাদিসুরের জানাজার প্রস্তুতি
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমানের জানাজা আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে হাদিসুরের বাড়ির পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে তাঁর জানাজার নামাজ।
ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হন নাবিক হাদিসুর রহমান। তিনি ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ নামে জাহাজটিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ৩ মার্চ (বুধবার) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় জাহাজটির ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। তবে মারা যান ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর।
এরপর ওই জাহাজে থাকা আরও ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে গত বুধবার (৯ মার্চ) রোমানিয়া থেকে দেশে ফেরেন তাঁরা। টার্কিস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট টিকে ৭২২ তাঁদেরকে নিয়ে ওই দিন দুপুর ১২ টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
সেদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেনে রাখা জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
তারপর গত রোববার হাদিসুরের মরদেহ দেশে আসার কথা থাকলেও ঝড়ের কারণে তুরস্কে ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। ফলে ‘আগের বুকিং বাতিল করে নতুন করে বুকিং করা হয়েছে’ বলে জানান নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।
এরপর গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো বিমানে নিহত হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর নিজ বাড়ি বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি পৌঁছায়।
নিহত হাদিসুর রহমান বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাই বোনের মধ্যে হাদিসুর দ্বিতীয়।