ইকবাল-খাদেমসহ চার আসামি আবার রিমান্ডে
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রধান সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার রিমান্ডে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে পুনরায় রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
অন্য তিনজন হলেন- ঘটনার সময় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ পুলিশকে কল করা ইকরাম হোসেন, মন্দিরের পাশের দারোগাবাড়ী মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ূন কবির।
প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার দুপুরে ইকবালসহ চার আসামিকে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ফারহানা সুলতানা প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক।
কুমিল্লা শহরে নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর ওই শহরে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার জের ধরে পরে চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ কয়েকটি জেলায়ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। নোয়াখালীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া চাঁদপুরে মন্দিরে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে বেশকিছু দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিসি ফুটেজ দেখে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান সন্দেভাজন ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয় ইকরাম হোসেন, খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন কবীরকে।
পরে তাদেরকে কোতোয়ালি থানায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় তদন্ত সংস্থা সিআইডি। পরে ২৩ অক্টোবর তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ সেই রিমান্ড শেষে তাদের আবার রিমান্ডে নেওয়া হলো।