ইডির জেরার মুখে ভেঙে পড়েছেন পি কে হালদার
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গতকাল শনিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় সে দেশের তদন্ত সংস্থা ইডি কর্মকর্তাদের ম্যারাথন জেরার মুখে ভেঙে পড়েছেন প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।
পি কে হালদার ইডি কর্মকর্তাদের কাছে বলেছেন, তিনি ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে, নিজের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার বলে পরিচিত সুকুমার মৃধার কারণেই তিনি ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর, রাজারহাট-নিউটাউন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়সহ বেশ কিছু জায়গায় পি কে হালদারের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২০০ কোটি রুপির কাছাকাছি সম্পদের হদিশ আপাতত মিলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিপুল অর্থ মূলত বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমেই পাচার করা হয়েছিল। কাদের মাধ্যমে এ অর্থ ভারতে নিয়ে আসা হয় এবং সে অর্থ লিকুইড মানি নাকি স্বর্ণের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল, সে বিষয়টিও নজরে রাখছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ভারতে এসে বাংলাদেশের বিপুল অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মাছের কারবারের আশ্রয় নিয়েছিল টিম পিকে হালদার। জেরার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন ইডি কর্মকর্তারা।
তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর ইডি কর্মকর্তারা ম্যারাথন জেরার মুখে রেখেছেন গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের। সময় যত এগোচ্ছে, ততই ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছেন পি কে হালদার। তবে, ইডি কর্মকর্তারা জেরা করে ভারতে পি কে হালদার মূল গডফাদার কে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।
ইডি সূত্রে খবর, পি কে হালদার জেরার মুখে বারবার ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার কথা বলছেন। সে ভুল পথ কী এবং কে বা কারা তাঁকে সে পথে পরিচালিত করেছেন, তা জানতেই এখন উঠেপড়ে লেগেছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, গ্রেপ্তার করা স্বপন মিত্রের স্ত্রী পূর্ণিমা মিত্র এবং উত্তম মিত্রের স্ত্রী রচনা মিত্র দাবি করেছেন—তাঁদের স্বামীরা সরাসরি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন।