ইডেনের ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীকে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্যাতনের অভিযোগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিকেলে মামলাটি তদন্তের জন্য লালবাগ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী নূর ই আলম বলেন, ‘এ মামলার অন্য আসামি হলেন—ইডেন কলেজের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়ার নির্দেশে রাত ১০টার সময় আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ অজ্ঞাত তিন থেকে চারজন দেশীয় অস্ত্রসহ জান্নাতুল ফেরদৌসের কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাঁকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু, ওই সময় জান্নাতুলকে না পেয়ে তাঁর আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তাঁর ওয়্যারড্রপে থাকা চিকিৎসার ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ (মূল্য ৩৪ হাজার টাকা) নিয়ে যান। ওই কক্ষের অন্যদের জীবননাশেরও হুমকি দেন।
খবর পেয়ে জান্নাতুল রুমে আসার পথে আয়শা হলের সামনে রিভা-রাজিয়াসহ আটজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। এরপর রিভা তাঁর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করেন। আর রাজিয়াসহ বাকিরা তাঁর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেন। এ সময় জান্নাতুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত ভেবে আসামিরা তাঁকে ছেড়ে যান। এর আগে তাঁর হাত থেকে ২০ হাজার টাকার মোবাইল ফোন, গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেন।
খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরে ক্যাম্পাস না ছাড়লে জীবননাশের হুমকি আসে।
এদিকে, ওই ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয় বলে জানান জান্নাতুল।