ইদানীং সাংবাদিকতার নামে এসব কী হচ্ছে : হাইকোর্ট
বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপি টিভির সাংবাদিকতা বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ইদানীং সাংবাদিকতার নামে এসব কী হচ্ছে? দেখেন না এখন সাংবাদিকতার নামে কী হচ্ছে? কী এক জাহাঙ্গীর বের হয়েছে। আইপি টিভির নামে কত চ্যানেল বের হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় আদালতের আদেশ নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশন সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানিকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন।
একইসঙ্গে চট্টগ্রামের যে সব পত্রিকা আদালতের আদেশ নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশন করেছে, সব পত্রিকাকে সংশোধনী দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
এর আগে খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকা ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সংশোধনী দিয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলি সংক্রান্ত কোনো আদেশ স্থগিত করেনি হাইকোর্ট। এরপরও ‘দুদকের সেই কর্মকর্তার বদলির আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট’ শিরোনামে দৈনিক পূর্বকোণসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে।
‘সেই দুদক কর্মকর্তার বদলি আদেশ স্থগিত’ শিরোনামে গত ২৯ জুলাই সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক পূর্বকোণ। এ সংবাদটি গতকাল আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তখন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘না, আমরা এমন কোনো আদেশ দেইনি।’
এ সময় আইনজীবী ওই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আদালতকে দেখান। তখন আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে ডেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাজহরুল হকের স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের একটি আদেশের অনুলিপির বরাত দিয়ে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন স্বপদে বহাল রাখার আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করতে ওই আদেশ বলা হয়েছে।
কিন্তু লিখিত অনুলিপিতে দেখা যায়, আইনজীবী তাঁর সার্টিফায়েড কপিতে দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) লিখেছেন। কোথাও স্টে (স্থগিত) লেখা হয়নি।
এ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি পটুয়াখালীতে বদলি করে দুদক। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ডিলিট করে দেন।