ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কৃষক হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কৃষক আবুবকর (৫৭) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি কিশোর বাবুল ও রিশাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, কৃষক আবুবকর হত্যা মামলার দুই অভিযুক্ত বাবুল মিয়া ও রিশাদকে আজ দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লাহ ও এসআই মাহবুবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চান্দেরচর গ্রাম থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করেন। অপরদিকে একই সময়ে কুলিয়ারচর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবদুলাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে রিশাদকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, স্থানীয় বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাছিনা বেগম (৪৮) অসুস্থ থাকায় তাকে দেখার জন্য গত ১৭ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই গ্রামের মো. বাবুল মিয়া, রাশেদুল আলম রিশাদ ও পারভেজ তাদের উত্ত্যক্ত করে।
ঘটনাটি শিক্ষিকা হাছিনা বেগমের চাচাতো জা আনিছা বেগম গত ১৯ জানুয়ারি অভিযুক্ত আসামিদের অভিভাবকদের জানালে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাত ৮টার দিকে আনিছার বাড়িতে এসে গালাগাল করতে থাকে। ওই সময় তাঁর স্বামী কৃষক আবু বকর স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাড়িতে এসে গালাগালের কারণ জানতে চাইলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁর স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় নিহত কৃষক আবুবকরের ছেলে মো. বায়েজিদ মিয়া (৩০) বাদী হয়ে গত ২০ জানুয়ারি মো. বাবুল মিয়া, মো. রাশেদুল আলম রিশাদ, মো. পারভেজ মিয়া ও মো. আলম মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।